প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনা বলেছেন চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকার হটানো যাবে না, জনগণ সাথে না থাকলে আন্দোলন সফল হয় না। রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় নরসিংদীর মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে সরকার হটানো যায় না। তারা (বিএনপি) অবরোধের নাম করে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে মানুষকে আহত করছে। পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলা করছে। বিএনপির এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ করে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দিয়েছে। কেউ কি হাসপাতালে আক্রমণ করে? তারেক জিয়ার চামচারা এসব হামলা করছে বলেও উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান।
বিএনপির অবরোধে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নভেম্বর পরীক্ষার মাস। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় অবরোধ দিয়েছে বিএনপি। কারণ তারা চায় না যে নতুন প্রজন্ম শিক্ষাগ্রহণ করুক।
প্রথানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে পড়াশোনা বিঘ্নিত করছে। তারেক এবং খালেদা জিয়া লেখাপড়ায় আগ্রহী নয় বলেই নিজেরা পড়াশোনা করেনি। তাই বছর শেষে বাচ্চাদের পরীক্ষার সময় অবরোধ দিচ্ছে আর করবেই না বা কেন, খালেদা জিয়া মেট্রিক ফেল আর তারেক জিয়া তিন স্কুল থেকে বহিষ্কার হয়েছে।
জনসভায় লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাহস থাকলে দেশে আসার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান রাজনীতি করবে না মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে গিয়েছিল। জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে সেখানে থাকছে। পালিয়ে থাকে লন্ডনে, আর সেখানে বসে দেশে আগুন জ্বালাতে বলে। আরে ব্যাটা তোর যদি সাহস থাকে, তাহলে বাংলাদেশে ফিইর্যা আয়, আমরা একটু দেখি।’
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে পুলিশ, ‘সাংবাদিক ও হাসপাতালে হামলার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ওরা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন ফিলিস্তিনের হাসপাতালে ইসরায়েল হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে। বিএনপিও তাদের জারজ সন্তান কি না, নয়তো তাদের মতোই কীভাবে তারা হামলা চালাচ্ছে?’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, যারা বাসে আগুন দেয় তাদের ধরে ওই আগুনে ফেলে দেন। তবেই যদি তাদের শিক্ষা হয়। নয়তো তাদের শিক্ষা হবে না।
এ সময় বাসে আগুন দিয়ে যারা মানুষ পোড়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
প্রায় ১৯ বছর পর সকালে নরসিংদীতে আসেন শেখ হাসিনা। তার সফর ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পুরো নরসিংদী জেলা।
সেখানে আসার পর প্রধানমন্ত্রী ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উদ্বোধন করেন। পরে এক সুধী সমাবেশে অংশ নেন। সেখান থেকে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।